নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

হাদিয়া ছাড়াই তারাবি পড়াচ্ছেন রশিদিয়ার ১৫’শ এর অধিক হাফেজ সাহেব গণ।

মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন।

এবারের পবিত্র রমজানে ফেনী জামেয়া রশিদিয়া মাদরাসার ১৫’শ জন হাফেজ দেশের বিভিন্ন জেলায় ০৯’শ-এর বেশি মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াচ্ছেন। সব হাফেজ তারাবি পড়ানো বাবদ কোনো হাদিয়া বা সম্মানী নিচ্ছেন না।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তাদরীবুল হুফফাজের তত্ত্ববধানে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম,চাঁদপুর জেলা সহ ৯২৯টি মসজিদে ১৫৪২ জন হাফেজে কুরআন খতমে তারাবীহ এর নামাজ পড়াবেন।

এ কার্যক্রম রজবের প্রারম্ভে শুরু হয় ভিবিন্ন মসজিদে। শবে বরাতের পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দের নিয়ে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাদরীবের দায়িত্বশীলগণ খতমে তারাবীহ বিষয়ক মাসয়ালা-মাসায়েল এবং হাফেয নেয়ার করণীয় বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করে থাকেন। মার্কশিট বিবেচনায় মসজিদের জন্য হাফেজ নির্ধারণ করা হয়। স্বভাবতই ভালো ইয়াদের পাশাপাশি ভালো কেরাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

সকল হাফেয সাহেবদের রমজানের দুইদিন পূর্বে মাদরাসায় উপস্থিত হতে হয়। উস্তাদগণ হেদায়েতমূলক আলোচনা করেন। মসজিদে সর্বোচ্চ আদব-লেহাজ বজায় রেখে, মাসআলা মাসায়েলের প্রতি লক্ষ রেখে চলার উপদেশ দেন। বিশেষ করে খতমে তারাবীহ এর বিনিময় গ্রহণ না করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়। প্রত্যেক মসজিদের জন্য নির্ধারিত হাফেজ সাহেবরা কমপক্ষে একদিন পূর্বে যার যার মসজিদে পৌঁছে যান। অত্র জামেয়া;

১৯৯৪ সালে মুফতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটি ফেনী জেলার,ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের কালিদহ ইউনিয়ন এর পাহালিয়া নদীর তীরে, লস্করহাটে অবস্থিত একটি ক্বওমি মাদ্রাসা। ০৭ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই শিক্ষাঙ্গনটি। মাদ্রাসাটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে জ্ঞান অর্জনের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার দূরদূরান্ত থেকে ৫৭৫৪+ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছেন। আবাসিক ছাত্র সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। ২১ জন বাবুর্চি, ১৯ জন স্টাফসহ ১২১ জন সুযোগ্য শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ