নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

কেন্দুয়ায় সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগ তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক

রুকন উদ্দিন, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা):

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক  মনিরুজ্জামান, তপন চন্দ্র ভদ্র, হারুন অর রশিদ ভূঞা ও জাহাঙ্গীর ভূঞা’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে আজ সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক স্টাফ রুমে আলোচনায় বসেন প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ চৌধুরী। আলোচনার বিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মার্কসিট বিষয়টি উঠে আসে। এতে অধিকাংশ শিক্ষক মতামত দিলেন মার্কসিট গুলো মানসম্মত করতে যা খরচ হয় এবং খরচ বাদে যদি কিছু উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে শিক্ষকগণ ও অফিস সহকারীকে যেন সম্মানি হিসেবে বন্টন করে দেন প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকদের এমন দাবিতে অসন্তুষ্ট হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম ও অভিযুক্ত চারজন সহকারী শিক্ষকদের মধ্য বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও তপন চন্দ্র ভদ্র সহকারী প্রধান শিক্ষককে অশালীন কথাবার্তা বলেন যদিও অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম পুলিশ তদন্তকালে কোন সাক্ষী বা প্রমান উপস্থাপন করতে পারেননি, এমনকি উপস্থিত প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য সকল সহকারী শিক্ষক কেউই অভিযোগকারীর পক্ষে মতামত প্রকাশ করেননি।

পরিশেষে যেহেতু তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক সেহেতু তাঁর চার সহকারী শিক্ষককে ফরিদা বেগমের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ চৌধুরী এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ তুলে নিতে সহকারী প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রধান শিক্ষক কবির আহমেদ চৌধুরী বলেন- নেত্রকোণার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ এটি। এসএসসি পরীক্ষায় জেলা পর্যায়ে ১ম,২য় এবং তয় স্থান অধিকার করে আসছে। এটা কেন্দুয়াবাসীর জন্য একটা গর্বের বিষয়। আজকে দু’পক্ষের ভুলবোঝাবুঝির কারণে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল যা হোক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার এসআই কামাল হোসেন জানান- অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছিলাম দু’পক্ষের সাথে প্রধান শিক্ষক আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। অভিযোগকারী অভিযোগ তুলে নিবেন বলে বলেছেন।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ