নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

ফুলবাড়ীর মানিক পা দিয়ে লিখে হাবিপ্রবিতে মেধা তালিকায় ১৯২

সিদ্দিকুর রহমান শাহীন ,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)।।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর শারীরিক প্রতিবিন্ধী মানিক রহমান পা দিয়ে লিখে এসএসসি, এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এবার দিনাজপুরের হাজী মুহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এ ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে মেধা তালিকায় ১৯২ তম স্থান অধিকার করেছে ।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে মানিকের। বাবা ঔষধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম বেগমের বড় ছেলে ।

রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশিত হলে মানিকের এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাবা মা আত্নীয় স্বজন পাড়াপ্রতিবেশি আনন্দিত।

মানিক রহমান ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৪ সালে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সরকারী বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

শুধু এসএসসি- এইচএসসিতে নয় বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে কাজে লাগিয়ে পিইসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং জেএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছিল মানিক। তিনি পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিং এ যথেষ্ট পারদর্শীও । তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কিছু করতে চান।

মানিকের বাবা মো: মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম জানান,দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। ছোট ছেলে মাহীম নবম শ্রেণিতে পড়ে। মানিক জন্ম থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। তার দুটি হাত নেই, একটি পা অন্যটার চেয়ে অনেকাংশে খাটো। কিন্তু প্রতিবন্ধী হলেও তাকে প্রতিবন্ধী মনে করেন না। হাত না থাকায় ছোটবেলা থেকেই তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছেন। পা দিয়ে লিখলেও তার লেখা অনেক সুন্দর এবং পড়াশোনায় সে খুবই মনোযোগী। সকলের দোয়ায় আজ তার কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হলো।

মানিক জানান, দুটি হাত না থাকলেও আল্লাহর অশেষ রহমত, বাবা,মা ও শিক্ষকদের দোয়া এবং অনুপ্রেরণায় পিইসি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। এ বছর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে মেধা তালিকায় ১৯২ তম স্থান অধিকার করেছি। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ