নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

বান্দরবানের তিন্দুতে চিংমা খিয়াং হত্যাকাণ্ড: অপপ্রচার ও জাতিগত বিভাজনের নতুন চাল

বান্দরবানের তিন্দুতে পাহাড়ি এক নারীর ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা সবাই আজ চরমভাবে শোকাহত। অথচ এই মানবিক ট্র্যাজেডিকে ঘিরে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙালিদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। তারা কোনো প্রমাণ ছাড়াই দোষ চাপাচ্ছে বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর—যা এক ভয়ানক বিভ্রান্তি এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্ম দিচ্ছে।

তিন্দু একটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে বাঙালি বসতি নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় বাঙালিদের জড়িয়ে দেয়া অভিযোগ অবাস্তব ও স্পষ্টতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত। পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এই ঘটনাকে ব্যবহার করছে পাহাড়ি-বাঙালি বিভাজন উসকে দিতে এবং নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে।

এমন দায় চাপানোর সংস্কৃতি নতুন নয়। অতীতেও পাহাড়ে কোনো অপরাধ ঘটলে কিছু সংগঠন রাজনৈতিক সুবিধা নিতে তা বাঙালিদের উপর চাপিয়েছে। এতে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যকার কোন্দল বাড়ে ।

আমরা ভুলে গেলে চলবে না, চিংমা খিয়াং একজন নারী ও শ্রমজীবী মানুষ। তাঁর ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাই মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে, কোনো জাতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়। অপরাধী যেই হোক—পাহাড়ি হোক বা বাঙালি–বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যেন পাহাড়ে অপরাধের বিচার জাতিগত রাজনীতির কারণে বাধাগ্রস্ত না হয়। আর ‘অধিকার’ বা ‘গণতন্ত্র’ এর নামে অপরাধ আড়াল দেওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত বিপদজনক–সম্মিলিতভাবে এটি রুখে দিতে হবে।

নূরে আবরার রাজিন।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ