নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা।।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপেন্দ্র চন্দ্র নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

তবে যায়গাটির প্রকৃত মালিক হিসেবে দাবি করেন, গোপাল চন্দ্র সিংহ, প্রসন্ন সিংহ, অনিল চন্দ্র সিংহ, ফনিন্দ্র চন্দ্র সিংহ, ননী চন্দ্র সিংহসহ এরা পাঁচ ভাই । এবিষয়ে জমি উদ্ধারের জন্য গেল ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কাজল দিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ঝলঝলি বানিয়াপাড়া গ্রামের
উপেন্দ্র চন্দ্র সিংহ, সুজন চন্দ্র সিংহ, যতিশ চন্দ্র সিংহ সহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত পঞ্চগড়ে মামলা করেন গোপাল চন্দ্র সিংহ সহ এই পাঁচ ভাই।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বলহরী মৌজার বাবদ খারিজা, জে.এল.নং-৬৮, এস.এ ১৭ নং খতিয়ানে ২১.০৩ একর জমি ঝলকি বর্মনী আডেনা হিস্যায় এবং সুতুমনি বর্মনী আডেনা হিস্যায় জমি রেকর্ড ভুক্ত হয়। এস.এ ১৭ নং খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত হওয়া ২১.০৩ একর জমির মূল মালিক ছিলেন লাল দাড়ি সিংহ। লাল দাড়ি সিংহ ২১.০৩ একর জমি ভোগদখলে থাকাকালে মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ত্যাক্ত ২১.০৩ একর জমিতে তাহার ঔরষজাত, ২ কন্যা ঝলকী বর্মনী ও সুতুমনি বর্মনী অবিবাহিতা থাকেন এবং ১ স্ত্রী জীবিত থাকেন।

হিন্দু দায়ভাগ মতে লাল দাড়ি সিংহের ত্যাক্ত ২১.০৩ একর জমি স্ত্রী গুনমনি বেওয়া জীবন স্বত্বে প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল করিতে থাকাকালে মৃত্যুবরণ করিলে ২১.০৩ একর জমি তাহার গর্ভে ও লাল দাড়ি সিংহের ঔরষজাত ২ কন্যা ঝলকী বর্মনী ও সুতুমনি বর্মনী জীবন স্বত্বে প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল করিতে থাকাকালে ১৯৬২ ইং সনে এস.এ ১৭ নং খতিয়ানে ২১.০৩ একর জমি ঝলকী বর্মনী আডেনা হিস্যায় এবং সুতুমনি বর্মনী আডেনা হিস্যায় জীবন স্বত্বে রেকর্ড ভুক্ত হয়।

হিন্দু দায়ভাগ মতে পিতার সম্পত্তিতে পুত্র সন্তান না থাকায় কন্যাগন জীবন স্বত্বে সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়। ঝলকী বর্মনী ও সুতুমনি বর্মনী বিবাহ শাদী হওয়ার পরে তাহারা স্বামীর সংসারে
দাম্পত্য জীবন পালন কালে ঝলকী বর্মনীর গর্ভে ৫ পুত্র অত্র মোকদ্দমার বাদী যথাক্রমে ১) গোপাল চন্দ্র সিংহ, ২) প্রসন্ন সিংহ, ৩) অনিল চন্দ্র সিংহ, ৪) ফনিন্দ্র চন্দ্র সিংহ, ৫) ননী চন্দ্র সিংহ জন্ম লাভ করেন এবং সুতুমনি বর্মনীর গর্ভে ৩ পুত্র অত্র মোকদ্দমার ১-৩নং বিবাদী যথাক্রমে ১) উপেন্দ্র নাথ সিংহ, ২) সুজন চন্দ্র সিংহ যতিশ চন্দ্র সিংহ জন্ম লাভ করেন। এরপরে ঝলকী বর্মনী ও সুতুমনি বর্মনীর মৃত্যুর পরে, দুই বোনের মোট ৪৭ শতক জমির মধ্যে, বর্তমানে ৩৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে ।

এরমধ্যে বর্তমানে যে জায়গাতে বাড়ি নির্মাণ করতেছে এখানে ১২ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরেই পড়েছিল । মামলা চলমান থাকাবস্থায় বাদি আদালতের কাছে নালিশা ভূমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গার কোন প্রকার রূপান্তর, পরিবর্তন ও নির্মাণ কাজ করাসহ আকার-আকৃতি পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জায়গাটিতে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, এর আগে গেল বছরে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিবাদীদেরকে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ সালিশে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও তারা হাজির হননি। এদিকে মামলার বাদি গত ১৯ শে মার্চ ২০২৫ তারিখে বিবাদীদেরকে আদালতের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে জায়গাটিতে ভবন নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেন।

কিন্তু বিবাদীরা তার কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এ অবস্থায় মামলার বাদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে সরেজমিন জায়গাটিতে গিয়ে দেখা যায়, পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ইট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পাকা বাড়ির বেশ কয়েকটি রুম। বিরোধপূর্ণ জায়গাটির পাশেই বাদীদের বাড়ি।

এ বিষয়ে উপেন্দ্র চন্দ্র সিংহের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কোর্ট আমাদের কাছে ১০ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে আমরা কোর্টে জবাব দিব ।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ