নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

নিবন্ধন এর যাবতীয় তথ্য নিচে আছে।

কুড়িগ্রামে হোটেলবয়ের সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি

বিশেষ সংবাদদাতা।।

কুড়িগ্রামে নামসর্বস্ব ও ভুঁইফোড় সাংবাদিকের কারণে মুলধারা সাংবাদিকরা বির্তকিত হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে অসন্তুষ্ট বিরাজ করছে ।এমন এক সাংবাদিকের পরিচয় মিলিছে কুড়িগ্রাম শহরের মোস্তফা কামালের।
কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বাড়ি হওয়ায় উপজেলার পেশাদার সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে।

এক পর্যায়ে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসলে পেশাদার সাংবাদিক এটিএন নিউজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি এসএম সাগর এর প্রতিবাদ জানালে তাকে চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামধারী মোস্তফা কামাল মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে পেশাদার সাংবাদিক এস এম সাগর নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার ডায়েরি নং:১৩০৭ তা:২৮/০৩/২০২৫ ইং।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন এক সময় ১টি হোটেলে ওয়েটার (মেসিয়ার) হিসাবে কাজ করেন।বর্তমানে তিনি সময়ের কাগজের কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি এবং দৈনিক সবুজ নিশান পএিকায় কর্মরত আছেন।তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সাংবাদিকতার যোগ্য না থাকায় প্রশ্ন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ পেশাদার সাংবাদিককে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন ।

অনুসন্ধানে ঐ ভুঁইফোড় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোটেল মেসিয়ার মোস্তফা কামাল এর সঙ্গে বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে উলিপুর উপজেলার বুড়বুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ভুঁয়া পরিচয় দানকারী আমিনুল ইসলাম মুকুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরে তার হাত ধরে হোটেল মেসিয়ারি বাদ দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় নেমে পড়ে।

এক পর্যায়ে গোটা জেলার আনাচে কানাচে দাপটের সহিত চাঁদাবাজি করে জিরো থেকে কিছুটা হিরো বনে চলে যায়।জানা যায় কিছুদিনের মধ্যে মোস্তফা কামাল কুড়িগ্রাম শহরের এিমোহনী এলাকায় কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বাসা বাড়ি করার জন্য জমি ক্রয় করেন। এছাড়াও তার নামে বেনামে কয়েক লক্ষ টাকা মজুদ রয়েছে।অথচ লোক দেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও ফুটফুটে চেহারার অধিকারী হওয়ায় সাধারণ অনেক মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে এই অর্থ উপার্জন করেছে বলে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা ও আরেক ভুঁয়া সাংবাদিক সংগঠনের নেতা আমিনুল ইসলাম মুকুল এর ছত্রছায়ায় মোস্তফা কামাল দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি করলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
এই রকম অশিক্ষিত ও ভুঁইফোঁড় সাংবাদিকের দাপট বন্ধ কল্পে পেশাদার সাংবাদিকসহ সচেতন মহল প্রতিকার চায়।

এ রকম আরো সংবাদ

সোশ্যাল মিডিয়া

35,000SubscribersSubscribe

সর্বশেষ সংবাদ